হাত-পা থেকে গড়িয়ে রক্ত পড়লেও মার থামায়নি’

 ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের ওপর ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার সেসব কথা জানিয়েছেন সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ৫ ফিলিস্তিনি। তারা জানান, রাসায়নিক দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৈদ্যুতিক শক দেওয়া থেকে শুরু করে যৌন নির্যাতনও চালানো হয়েছে তাদের ওপর।রাসায়নিক দিয়ে শরীরের বেশির ভাগই ঝলসে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী আইডিএফ। কারাগারে ভয়াবহ শারীরিক নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা।আইডিএফের নির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনি মোহাম্মদ আবু তাওয়িলেহ বিবিসিকে বলেন, ‌‌‘রাসায়নিক-ভর্তি একটি বালতিতে আমার মাথা ডুবিয়ে রাখে তারা। এরপর আমার মাথা ও চোখে আঘাত করে। সেই থেকে চোখ জ্বালাপোড়া করে। পুরো শরীর চুলকায়। এখনো ক্ষত সারেনি। কষ্ট হয়, কোনো কাজ করতে পারি না।’


মোহাম্মদ আবু তাওয়িলেহর বয়স ৩৬ বছর, পেশায় মিস্ত্রি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরই আটক করা হয় তাঁকে। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া এমন আরও ৪ ফিলিস্তিনির সাক্ষাৎকার নেয় বিবিসি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নৃশংস অত্যাচার সহ্য করেছেন তারানির্যাতনের শিকার ফিলিস্তিনি আব্দুল করিম মুস্তফা বলেন, ‘তারা আমার হাত ও চোখ বেঁধে মারধর করতো। হাত-পা থেকে গড়িয়ে রক্ত পড়তো। টানা ৩ দিন আমাকে পানিও খেতে দেয়নি। জখমের কারণে আমার পা ফুলে যায়। কোনো চিকিৎসা দেওয়া হতো না। গোসলের জন্য ঠান্ডা পানি দেওয়া হতো, সময় দিতো ৩ মিনিট।’মুক্তি পাওয়া আরেক ফিলিস্তিনি আহমেদ আবু সেইফ জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার পায়ের নখ উপড়ে ফেলেছে আইডিএফ। বৈদ্যুতিক শক, কুকুর দিয়ে ভয় দেখানো থেকে শুরু করে যৌন নির্যাতনও চালানো হয়েছে তাদের ওপর। এ অবস্থায় দেখেছেন অন্য বন্দির মৃত্যুও। 


কোনো অভিযোগ ছাড়াই অনির্দিষ্টকাল আটক রাখার মতো একতরফা যুদ্ধাপরাধ আইনের অধীনে বহু ফিলিস্তিনিকে আটক করে ইসরায়েল।ও।

Post a Comment

Previous Post Next Post