ইকুয়েডরের জাতীয় লিগের ক্লাব এমেলেকের ডিফেন্ডার জ্যাকসন রদ্রিগেজের পরিবারে নেমে এসেছে দুর্যোগ। ডাকাতদের ভয়েই খাটের নিচে লুকিয়ে পড়তে হয়েছিল ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে। এ সুযোগে অপহরণ করা হয়েছে তার স্ত্রী ও পাঁচ বছর বয়সী ছেলেকে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, বন্দরের শহর গুয়াইয়াকিলে স্থানীয় সময় বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত তিনটায় এই অপহরণের ঘটনা ঘটে। দেশটির পুলিশপ্রধান এদিসন রদ্রিগেজ জানান, দুর্বৃত্তরা জ্যাকসনের বাসার প্রধান দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। ভেতরে থাকা জ্যাকসন শব্দ শুনেই বিছানার নিচে লুকিয়ে পড়েডাকাতরা বাসায় ঢুকে লুটপাট চালায় এবং জ্যাকসনের স্ত্রীর কাছে জানতে চায়, তিনি বাড়িতে আছেন কি না। এরপরই তার স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। ফুটবলার জানালার ফাঁক দিয়ে দেখতে পান, অপহরণকারীরা একটি ধূসর রঙের পিকআপ গাড়িতে করে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনার পেছনে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের হাত রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। মাত্র ১০ দিন আগেই ইকুয়েডর সরকার দেশটির নয়টি এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি করে, যার মধ্যে গুয়াইয়াস প্রদেশও রয়েছে। সরকার জানিয়েছে, দেশটিতে চার বছর ধরে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে এবং এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৩৪৫ জন। শুধু গুয়াইয়াকিল শহরেই মারা গেছেন ৭৪২ জইকুয়েডরে ফুটবলারদের অপরাধীদের টার্গেটে পরিণত হওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে লিগা দে কিটোর ডিফেন্ডার পেদ্রো পেরলাজাকে রাজধানী কিটো থেকে ১১৩ মাইল উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের শহর এসমেরালদাসে অপহরণ করা হয়েছিল, যাকে পরে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ এখন পর্যন্ত জ্যাকসনের স্ত্রী ও সন্তান উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।ন।ন।
Post a Comment