জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নরসিংদী জেলার জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) মো. সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন) গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, নরসিংদীতে গণহত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত (পরোয়ানাভুক্ত) আসামি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জানা যায়, ৩৭তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদে কর্মরত আছেন।
এর আগে একই মামলায় গতকাল রবিবার দুপুরে রাঙামাটি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সহকারী পুলিশ সুপার অনির্বান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়। তাকেও পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
অনির্বান চৌধুরী ৩০তম বিসিএসের (পুলিশ ক্যাডার) মাধ্যমে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিজীবন শুরু করেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে নরসিংদী জেলা পুলিশে যোগ দেন।
গত বছরের জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তিনি নরসিংদীতে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর তিনি রাঙামাটি জেলা পুলিশে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি রাঙামাটি জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) হিসেবে কর্মঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে বিএনপি প্রার্থীদের পক্ষে আদালতের রায় ঘোষণার পর এবার খুলনায়ও বিএনপির পক্ষ থেকে মেয়র পদ ফিরে পাওয়ার আশাবাদী হয়ে উঠেছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ সমর্থকরা। তারা আশা করছেন, খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নজরুল ইসলাম মঞ্জু আদালতের রায়ে মেয়র হিসেবে পুনর্বহাল হতে পারেন।
আদালতের আদেশ: একতরফা রায়ের সম্ভাবনা
২০১৮ সালের ১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তিনি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে খুলনার যুগ্ম-জেলা জজ ১ম আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় নির্বাচন কমিশন, রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ ছয়জনকে বিবাদী করা হয়।
বিভিন্ন সময়ে আদালতের সমন প্রেরণ সত্ত্বেও তারা কেউ হাজির হননি। অবশেষে গত ৮ এপ্রিল আদালত একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিবাদীদের বিরুদ্ধে বিকল্প পদ্ধতিতে সমন জারি করেন। আগামী ২৪ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জবাব প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্ধারিত দিনে তারা হাজির না হলে মামলার রায় একতরফাভাবে ঘোষণা করা হবে।রত রয়েছেন।
Post a Comment