জম্মু-কাশ্মীর হামলাকে ভারতের ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ অভিযান বলছে পাকিস্তান

 


ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুক হামলায় ভারতীয় নৌবাহিনী অফিসারসহ ২৬ জন পর্যটক নিহতের ঘটনাকে ‘ফলস ফ্ল্যাগ’ বলছে পাকিস্তান। ‘ফলফ ফ্ল্যাগ’ হলো কোনো দেশের পরিকল্পিত ভয়াবহ ঘটনাকে সুক্ষ্মভাবে অন্য দেশের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া। খবর জিও নিউজ


মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) পেহেলগামের বাইসারান এলাকায় ওই হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালের নাগরিক ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ। এ হামলায় আরও ১৭ জন আহত হয়েছেন। 


ভারতে ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সবচেয়ে বড় হামলা এটি। ক


পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার (অব.) আহমেদ সাঈদ মিনহাস বলেন, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ভারতীয় মিডিয়া এ ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। কারণ, হামলাটি হয়েছে ভারতের অবৈধভাবে দখল করা জম্মু-কাশ্মীরের ৪০০ কিলোমিটার ভেতরে। 


জিও নিউজকে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে নিরাপদভাবে ফিরিয়ে দিয়ে পাকিস্তান বড় ধরনের সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছিল। 


আরেক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার (অব.) রশিদ ওয়ালি ভারতীয় মিডিয়ার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, হামলার পরপরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘বেসামরিক ও অসত্য অভিযোগ’ ছড়ানো শুরু হয়েছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত যদি আবারও কোনো ভুল পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করে, তাহলে এর ফলাফল হতে পারে বিপর্যয়কর, যেমনটা হয়েছিল ‘বালাকোট হামলার’ পর।


পাকিস্তানের সাবেক সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিশ্লেষক মুশাহিত হুসাইন, জম্মু-কাশ্মীকে বন্দুক হামলায় ঘটনায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করায় তিনি ভারতের এই ধরনের কার্মকাণ্ডের প্রতি নিন্দা জানিয়েছেন। 


তিনি বলেন, ভারতের সরকার সন্ত্রাসী হামলার পরপরই পাকিস্তানকে দোষারোপ করার একটি ‘অটোমেটেড প্রতিক্রিয়া’ তৈরি করেছে। তিনি ‘কাশ্মীর এক্সপ্রেস’ হামলা এবং বর্তমানে পেহেলগাম হামলার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ভারতের এই ধরনের মনোভাব কোনো না কোনো ঘটনা ঘটানোর পর পরই উঠে আসে, তদন্তের আগেই পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়।


এদিকে জম্মু-কাশ্মীরে বন্দুক হামলায় নিহতদের প্রতি গভীর শোক জানিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাফকাত আলী খান বলেন, পেহেলগামে বন্দুক হামলায় যারা নিহত হয়েছে, তাদের পরিবারের প্রতি পাকিস্তান গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে। 


এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘কাশ্মীর রেসিস্ট্যান্স’ নামে একটি গ্রুপ। গ্রুপটির দাবি, কাশ্মীরে ৮৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বাইরে থেকে এসে বসতি গড়েছেন। এ কারণে স্থানীয় জনগণের ওপর ‘ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তন’ ঘটানো হচ্ছে। এটি প্রতিরোধের জন্য তারা এ হামলা চালিয়েছে।


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post