পিরোজপুর এলজিইডির দুর্নীতিকাণ্ডে জেলা হিসাবরক্ষণ অফিসের চার কর্মকর্তা ও এলজিইডি অফিসের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। গতকাল বুধবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পিরোজপুর সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়।আজ বৃহস্পতিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন পিরোজপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পিরোজপুর ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মো. মাসুম হাওলাদার, এসএএস সুপার নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।এর আগে মঙ্গলবার পিরোজপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে ৮টি মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্য থেকে বুধবার ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম জানান, দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় দুদক তাদের গ্রেপ্তার করেছে। তারা থানা হাজতে রয়েছে।পিরোজপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পিরোজপুর এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্পে ১১ শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আমরা ২৩ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৮টি মামলা দায়ের করি। এদের মধ্যে থেকে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা হাজতে পাঠানো হবে।’
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দুর্নীতির কারণে দেশব্যাপী আলোচনায় আসে পিরোজপুর এলজিইডি অফিস। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডির প্রধান কার্যালয় থেকে অনেকগুলো তদন্ত টিম পিরোজপুর এলজিইডি অফিসে দুর্নীতির প্রমাণ পায়। কাজ শেষ না করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি বিল পরিশোধ করা এবং এক হাজার ১০১ কোটি টাকা ব্যয়ে গরমিল পায় তদন্ত কমিটি। সর্বশেষ দুদক বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা পেয়ে দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পিরোজপুর এলজিইডি অফিস ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এসব দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বলে তদন্তে উঠে আসে।
Post a Comment