আওয়ামী লিগ’ নামে নিবন্ধন চাওয়া সেই উজ্জল মানসিক রোগী, দাবি মা-বাবার

আওয়ামী লিগ’ নামে নিবন্ধন চাওয়া সেই উজ্জল মানসিক রোগী, দাবি মা-বাবার

আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চাওয়া উজ্জল রায় মানসিক রোগী বলে দাবি করছেন তার মা-বাবা। এ ছাড়া উজ্জল রায়কে তার এলাকায় পরিচিত ভিভিড সাহা নামে। সাত দিন ধরে তিনি বাড়িতে নেই। এ ছাড়া তার মা-বাবা জানেন না তাদের ছেলে কোথায় আছে। এর আগে গত ২৫ মার্চ উজ্জল রায় ‘আওয়ামী লিগ’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চেয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে আবেদন করেন। তার বাড়ি দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে। তার বাবার নাম নরেশ চন্দ্র রায় এবং মা পারুল রায়।

আরো পড়ুন

চট্টগ্রামে পুলিশ বক্সে জয় বাংলা লেখায় ছাত্রলীগ নেতা আটক

 

উজ্জলের মা-বাবা জানান, তার ছেলের মাথায় সমস্যা আছে। তারা দীর্ঘদিন একজন নিউরোসার্জনের কাছে ছেলের চিকিৎসা করাচ্ছেন। ছেলে চারবার পরীক্ষা দিয়ে এসএসসি পাস করেছেন। তিনি বর্তমানে ফুলবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের ছাত্র।

এ সময় তার কোনো ছবি আছে কি না, জানতে চাইলে প্রথমে তার মা-বাবা ছবি দিতে পারেননি।

পরে তার বাবা একটি ব্যানার বের করে নিয়ে আসেন। যেটি বাংলা ১৪৩০ সনের দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে তৈরি করা পোস্টার। যাতে লেখা রয়েছে, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি/চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক সাম্প্রদায়িক সম্মেলন। এই পোস্টারে তার ছবিও পাওয়া যায়। কথা বলতে বলতেই তার বাবা নরেশ চন্দ্র রায় পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলেন। বাবা নরেশ চন্দ্র রায় জানান, তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে উজ্জল রায় সবার ছোট। তিনি কিভাবে, কেন বা কার পাল্লায় পড়ে এই কাজ করেছেন, তা তিনি জানেন না। কিন্তু এলাকার মানুষ তাকে অনেক প্রশ্ন করছে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে মানসিক রোগী। আমি ছেলের হয়ে সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে জানতে একাধিক প্রতিবেশীর কাছে গেলেও কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, ‘উজ্জল রায় নয়, আমরা তাকে ভিভিড সাহা নামে জানি।’

আরো পড়ুন
আবারও দেশে বার্ড ফ্লু শনাক্ত, বিপিএর উদ্বেগ

আবারও দেশে বার্ড ফ্লু শনাক্ত, বিপিএর উদ্বেগ

 

বিষয়টি জানতে উজ্জল রায় ওরফে ভিভিড সাহার সঙ্গে তার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
 
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পার্বতীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, ‘আমরা কিছুই জানি না। আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’

Post a Comment

Previous Post Next Post