হোয়াটসঅ্যাপ এখন অনেক বড়, তাই মানতে হবে কঠোর নিয়ম

 

হোয়াটসঅ্যাপ এখন অনেক বড়, তাই মানতে হবে কঠোর নিয়ম
জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া হোয়াটসঅ্যাপ এখন আক্ষরিক অর্থেই ইউরোপে অনেক বড় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (ভেরি লার্জ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা ভিএলওপি) হিসেবে বিবেচিত। ফলে এবার থেকে ইউরোপে আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক আইনের সম্মুখীন হতে হবে মেটার মালিকানাধীন ইন্সট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপটিকে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) প্রণীত ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ) অনুযায়ী, যেসব অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪৫ মিলিয়ন বা সাড়ে চার কোটি তাঁদেরকে অনেক বড় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গণ্য করা হয় এবং ‘ভিএলওপি’ স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। হোয়াটসঅ্যাপ এই মাইলফলক ছুঁয়েছে গত বছরই। হোয়াটসঅ্যাপের ‘ভিএলওপি’ স্ট্যাটাস প্রাপ্তির বিষয়টি সম্প্রতি ইউরোপিয়ান কমিশনার থমাস রেগনিয়ার নিশ্চিত করেছেন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউরোপিয়ান কমিশনে জমা দেওয়া ফাইলিংয়ে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের শেষ ছয় মাসে তাঁদের সক্রিয় মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল গড়ে ৪৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন।

ভেরি লার্জ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম (ভিএলওপি) স্ট্যাটাসের অর্থ কী?
ভিএলওপি স্ট্যাটাস প্রাপ্ত প্ল্যাটফর্মগুলোকে ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)-এর কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক আইন মেনে চলতে হয়। যাদের এই স্ট্যাটাস নেই তাঁদের জন্য ডিএসএ-এর নিয়মকানুন অনেকটাই শিথিল। ফলে এতোদিন হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ইউরোপে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করা অনেকটাই সহজ ছিল। 

হোয়াটসঅ্যাপের মতো ভিএলওপি স্ট্যাটাস রয়েছে এমন প্ল্যাটফর্মগুলোকে অবশ্যই বেশ কয়েকটি নিয়ম কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হয়। প্রথমত, ব্যবহারকারীদেরকে অবশ্যই বেআইনি পণ্য, সেবা ও কনটেন্ট সম্পর্কিত পোস্ট রিপোর্ট করার এবং সেগুলো প্রতিরোধ ও সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতে হয়। অর্থাৎ ব্যবহারকারী যদি মনে করেন যে একটি পোস্ট প্ল্যাটফর্মের নীতিবিরুদ্ধ তবে তিনি যেন সেটা রিপোর্ট করার সুযোগ পান।

ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট-এর নিয়ন্ত্রণও অনেক বেশি কঠোর হয়ে থাকে ভিএলওপি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর। এই যেমন, টার্গেটেড বিজ্ঞাপনে ব্যবহারকারীদের ডেটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণমূলক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হয় প্ল্যাটফর্মগুলোকে। বিশেষ করে শিশুদের বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরও কঠিন হয়ে থাকে।    

ইউরোপের নাগরিকরা যারা ভিএলওপি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন তাঁদের ব্যক্তিগত ডেটার ওপর অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে। তাঁরা চাইলেই প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব রিকমেন্ডেশন সিস্টেম ও প্রোফাইলিং থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। ইউরোপে ব্যবহারকারীদেরকে এই সুযোগ দিতে বাধ্য ভিএলওপি স্ট্যাটাস প্রাপ্ত প্ল্যাটফর্মগুলো। 

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হোয়াটসঅ্যাপ নিজেদের প্রাইভেসি পলিসি আপডেট করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ডিএসএ-এর নিয়মাবলীর সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে হোয়াটসঅ্যাপ তাঁদের ডেটা প্রসেসিং সংক্রান্ত নীতিমালাতেও পরিবর্তন এনেছে। উল্লেখ্য, মেটার মালিকানাধীন ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম ইতোমধ্যেই ভিএলওপি স্ট্যাটাস পেয়েছে ইউরোপে। 

তথ্যসূত্র: দ্য ভার্জ

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post