স্ত্রীকে যেভাবে দলবদ্ধ ধর্ষণ


 

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্বামীর নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. নাজমুল ইসলাম ও অপর আসামি রনিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী র‍্যাব-১১ সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানানো হয়।র‍্যাব জানায়, আজ বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব–১১। মামলার অপর আসামি রনিকে আজ সন্ধ্যায় গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব–১১ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের বাড়িতে স্বামীর নির্যাতনের ভিডিও দেখিয়ে স্ত্রীকে দলবদ্ধ হয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে আসামিরা।’


র‍্যাব–১১ অধিনায়ক জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার ওই নারী গ্রেপ্তারকৃত আসামি নাজমুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থেকে পড়াশুনার পাশাপাশি চাকরি করতেন। তিনি ওই বাড়িতে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. নাজমুল ইসলাম বিভিন্ন সময়ে তাঁকে কু প্রস্তাব দিতেন। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টায় তাঁর স্বামী দেখা করতে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিসহ আরও ২/৩ জন মিলে ওই নারীর স্বামীকে ধরে টেনেহিঁচড়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তারা ওই নারীর স্বামীর গলায় ধারালো ছুরি ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে মারপিট করে। তাঁর কাছ থেকে একটি মোবাইল সেট ও নগদ এক হাজার টাকা নিয়ে যায়। এসময় আসামিরা ভুক্তভোগীর স্বামীর গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ কপরে রাত আড়াইটায় স্বামীকে আটক রেখে আসামি নাজমুল ইসলাম ও রনি ওই নারীর ভাড়া বাসায় জোর করে ঢুকে মোবাইলে ধারণ করা স্বামীকে হত্যাচেষ্টার ভিডিও দেখিয়ে হুমকি দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরপর এ ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু প্রকাশ করলে তাঁর স্বামীকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এসময় ওই নারীর মোবাইলফোনটি আসামিরা নিয়ে যায়।


এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামি মো. নাজমুল ইসলামকে ফতুল্লা থানায় হস্তান্তর করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান র‍্যাব–১১ অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post