ছাত্রদের নতুন দল থেকে সরে গেলেন জুনায়েদ ও রিফাত

 



ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দলে না থাকার কথা জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ ও যুগ্ম সদস্য সচিব রাফে সালমান রিফাত। তারা দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি।


আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদের নতুন দলটি আত্মপ্রকাশ করার কথা রয়েছে। 


জানা গেছে, আলী আহসান জুনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে। তাদের চীন সফর নিয়েও আপত্তি ওঠে নাগরিক কমিটিতে। গত সোমবার এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দেয় সংগঠনটি


জুনায়েদের সঙ্গে নাগরিক কমিটির নেতাদের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে নতুন রাজনৈতিক দলের সদস্য সচিব পদ নিয়ে। তার অনুসারীরা তাকে এ পদে দাবি করলেও আরেকটি অংশ চান নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে। এ নিয়ে নাগরিক কমিটিতে চলে টানাপোড়েন।


এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আলী আহসান জুনায়েদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তরুণদের নেতৃত্বে যেই নতুন রাজনৈতিক দলটি আসছে, সেখানে আমি থাকছি না। সে কথা আমি আরও সপ্তাহখানেক আগেই জানিয়েছি দলের নেতাদের। বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে ও জাতির নজর নতুন দলের ওপর নিবদ্ধ রাখতে নীরবতা বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু চারপাশের গুঞ্জন থামছে না। তাই স্পষ্ট করে রাখছি।


তিনি আরও লেখেন, আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারীদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল দেশের স্বার্থেই প্রয়োজন। নতুন এই রাজনৈতিক দলের প্রতি আমার দোয়া ও শুভকামনা রইল। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সততা ও ন্যায়ের পথ থেকে বিচ্যুত না হোক এই দল। দুর্নীতির সকল সুযোগ বন্ধ করে নতুন ধারার রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হোক এই দলে।

জুনায়েদ বলেন, বারবার বলার পরও যদিও হয়নি, তবুও চাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার যথাযথ অনুসরণ ও ইনক্লুসিভনেস এই দলের বৈশিষ্ট্য হোক। দুঃখজনক বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার পরও ট্যাগিং ও ট্যাবুর রাজনীতি থেকে মুক্ত হয়ে নতুন ধারার রাজনীতি এই দলের মাধ্যমে শুরু হোক–এই প্রত্যাশাই করি। আশা করি, অভ্যুত্থানের সময়ে আমাদের মধ্যে যেই ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা ও সহযোগিতার সম্পর্ক ছিল; নতুন রাজনৈতিক পথচলায়ও আমাদের পারস্পরিক এই সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধ অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন দল, নাহিদ ইসলাম এবং নব নেতৃত্বের জন্য শুভকামনা রইল।


Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post