কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় বাহিরচর ইউনিয়নের ফারাকপুর গ্রামে নিজ ঘর থেকে স্বামী ও স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘরের আড়ায় সঙ্গে ঝুলছিল স্বামী ফরিদ উদ্দীনের (৭৫) মরদেহ। আর পাশের খাটে লেপের নীচে মাথা ঢাকা অবস্থায় ছিল স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের (৬৫) মরদেহ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ফারাকপুর গোরস্থান পাড়া সংলগ্ন বাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
.এলাকাবাসীরা জানান, বৃদ্ধ ফরিদ উদ্দীনের পুরনো বাড়ি নাটোর জেলার গুরুদাসপুরে। সেখানে প্রথম স্ত্রী, ছেলে মেয়ে রয়েছে। ভেড়ামারায় দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন। তারা দুজনেই দিনমজুরের কাজ করে জীবিকানির্বাহ করতেন। বাড়ির পাশেই বসবাস করেন স্ত্রী রাবেয়া খাতুনের প্রথম পক্ষের ছেলেরা। বুধবার সকালে ফরিদের নাতি বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে।
এ সময় কেউ কোন আওয়াজ বা সাড়া শব্দ না করলে বাড়ির অন্য সদস্যদের সন্দেহ হয়। এ সময় ঘরের ফাঁক দিয়ে ঝুলন্ত একটি মৃতদেহ দেখা যায়। পরে ভেড়ামারা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
ফরিদের পুত্রবধূ জানিয়েছে, তাদের শ্বশুর-শাশুড়ি আলাদা ভাবেই বসবাস করতেন। উল্লেখ করার মতো কোন পারিবারিক কলহ তাদের ছিল না। তবে কি কারণে, বা কিভাবে এই ঘটনা ঘটলো প্রশ্ন তাদের। আবার আত্মহত্যারও কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না তারা।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন, টিনের ঘরটি ভেতর থেকেই বন্ধ করা ছিল। বিছানায় লেপ দিয়ে মাথা ঢাকা অবস্থায় রাবেয়া খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পাশেই আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল ফরিদ উদ্দীনের মরদেহ। হত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছে পুলিশ। তবে প্রাথমিকভাবে বলা যেতে পারে, স্ত্রীকে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে মৃত্যু রহস্য।
Post a Comment