আমেরিকার ওপর পাল্টা শুল্কারোপের হুঁশিয়ারি চীনের

 চীন থেকে আসা পণ্যের ওপর নতুন ১০% শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণার পর চীনের তরফ থেকেও পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।


কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের ওপর আমদানি করা পণ্যে বাড়তি ১০ শতাংশ হারে শুল্কারোপের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।


এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ওয়াশিংটন নিজের দায় অন্যের কাঁধে চাপাচ্ছে। এবং দায়িত্বশীল আচরণ করছেচীন থেকে ফেন্টানিল প্রবেশ করছে আমেরিকায়–এই অভিযোগ রয়েছে বাড়তি শুল্কারোপের ঘোষণার মূলে। এ ছাড়া বাণিজ্য অসাম্য থেকে শুরু করে নানা দ্বন্দ্ব আছে।


যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল মাদক হিসেবে ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এর প্রবেশ বন্ধে দেশটি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। এ ক্ষেত্রে চীনের প্রতি তাদের বড় অভিযোগ রয়েছে। তবে চীন মনে করে, এই মাদকের ছড়িয়ে পড়ায় ওয়াশিংটনেরও দায় আছেবৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, চীন থেকে পণ্য আমদানিতে বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্কারোপের কথা ভাবছে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে মেক্সিকো ও কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের পূর্বঘৌষণা আগামী ৪ মার্চ থেকে কার্যকর হতে পারে বলেও তিনি জানিয়েছেন।


চীনের ওপর বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্কারোপের কারণ হিসেবে তিনি সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ‘চীন থেকে অগ্রহণযোগ্য মাত্রায় ফেন্টানিল প্রবেশের’ কথাই বলেছেএর প্রতিক্রিয়ায় আজ শুক্রবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মাদক আইনের বিবেচনায় বিশ্বের অন্যতম কঠোর অবস্থানে থাকা দেশ 


হচ্ছে চীন। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নিজের দায় অন্যের কাঁধে চাপাচ্ছে। বিবৃতিতে ওয়াশিংটনের প্রতি আগের ভুল আবার না করার জন্য এবং দ্বন্দ্ব নিরসনে আলোচনার মাধ্যমে সঠিক পথে হাঁটার আহ্বানও জানানো হয়।চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়, তবে চীন তার আইনসিদ্ধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা বারবার বলে আসছি যে, একতরফা শুল্কারোপ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার বিধি লঙ্ঘন করে এবং তা বহুজাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার ধারাকে ব্যাহত করে।’


প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের ২০২৩ সালের তথ্যমতে, দেশটিতে প্রতি বছর গড়ে ৭৪ হাজার মানুষ ফেন্টানিলওভারডোজেরকারণে মারা যায়।ন।। না।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post