জানা গেল দিল্লি বিধানসভা থেকে ১৫ বিধায়ক সাময়িক বরখাস্ত

 


দিল্লি বিধানসভা থেকে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির ১৫ বিধায়ককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে সাবেক নারী মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মার্লেনাও রয়েছেন।কেন্দ্রশাসিত 


অঞ্চলটির নতুন মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার অফিস থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিংয়ের ছবি সরানোকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় হট্টগোল করে কেজরিওয়ালের দল। এর জেরে বিধানসভার নিয়মভঙ্গের দায়ে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দলটির ১৫ বিধায়ককে বরখাস্ত করেন স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্ত।চলতি মাসের শুরুতেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে হেরে যায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আম আদমি পার্টি। এ ধাক্কা কাটতে না কাটতেই এবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির ১৫ বিধায়ককে দিল্লি বিধানসভা থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সদ্য দায়িত্ব নিয়েছেন রেখা গুপ্তা। আর রাজ্যপাল হিসেবে বিনাই কুমার সাক্সেনা। এরপরই তাদের কার্যালয় থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামী ভগৎ সিং ও সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের ছবি সরিয়ে ফেলা হয়।ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় আম আদমি পার্টি। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দিল্লি বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অতিশী। এর জেরে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হলে বিধায়নসভার নিয়মভঙ্গের দায়ে স্পিকার বিজেন্দ্র গুপ্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির ১৫ বিধায়ককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।দিল্লির মসনদ হারানোর পর বর্তমানে পাঞ্জাবে রয়েছে আম আদমি পার্টির সরকার। তবে রাজ্যটিতে পাঞ্জাবের ৩২ জন বিধায়ক দলবদলের প্রস্তুতির পাশাপাশি কংগ্রেস ও বিজেপির সঙ্গে তারা গোপনে যোগাযোগ রাখছে বলে অভিযোগ তুলেছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। এর আগে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিতে ভাঙনের সুর দেখা দিয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেয় কংগ্রেস।

 

এদিকে দিল্লির মসনদ হারানোর পর পাঞ্জাবেও চাপের মুখে পড়েছে আম আদমি পার্টি। দিল্লি ও পাঞ্জাবে এই পরিস্থিতির জন্য ক্ষমতাসীন বিজেপির দিকে আঙ্গুল তুলেছেন আম আদমির নেতারা। তাদের দাবি, দিল্লির পর এবার পাঞ্জাব থেকে কেজরিওয়ালের সরকারকে হটানোর পাঁয়তারা করছে বিজেপিএমন উত্তেজনার মধ্যেই দিল্লির চলতি বিধানসভায় আম আদমি সরকারের আবগারি সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি নথি উত্থাপনের খবর উঠে এসেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, আম আদমি পার্টি আবগারী সংক্রান্ত আইন করে সরকারের প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। এর দায়ভার নিতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও তার দলকেই।।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post