কুয়েটে সংঘর্ষ যে বিবৃতি দিল বুয়েট শিক্ষার্থীরা


   



শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন

কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিবৃতি

 প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২০:৪৩

কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিবৃতি

বুয়েট শিক্ষার্থীদের মিছিল

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বুয়েট ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু ওবায়দা মায়াজ ও আরাফাত সাকিব স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতি সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো হয়।


বিবৃতিতে বলা হয়, ‘খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাককারজনকভাবে হামলা চালানো হয়েছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, গতকাল কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদল নিজেদের ফরম বিক্রির কার্যক্রম চালায়। এর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করতে চাইলে সেখানে হামলা চালায় বহিরাগত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা।’ 


এতে বলা হয়, ‘সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী বিকাল পর্যন্তও কুয়েটে আমাদের ভাইয়েরা একের পর এক হামলার স্বীকার হয়েছেন। আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার কণ্ঠে ঘোষণা করতে চাই, বাংলাদেশকে আরেকটি নৈরাজ্যপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হতে আমরা দেবো না। হাজারো শহীদের রক্তস্নাত এই ফ্যাসিস্টমুক্ত স্বাধীনদেশে ফ্যাসিস্টদের পুরনো পদচারণা আমরা মেনে নেবো না। কুয়েটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একান্তই কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের। কোনো বহিরাগত সন্ত্রাসীর না। ইতোপূর্বে বুয়েটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেমন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিল, ছাত্রদলের বর্তমান সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধেও বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনঢ় ও সুদৃঢ়। 


বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, অতি দ্রুত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কোনো হামলাকারী ছাড় পেলে তা হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের সাথে অবমাননা। এর পাশাপাশি, কুয়েটসহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেই লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিল, তাদের সেই অবস্থানকে সম্মান করুন।’ 


এতে আরও বলা হয়, ‘আমরা কুয়েট প্রশাসনকে জানিয়ে দিতে চাই, কোনোভাবেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যেয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন না, অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতম কর্মসূচি গ্রহণ করবে।’

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post