পিরোজপুরের ইন্দুরকানিতে আওয়ামী লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ইন্দুরকানী থানার তিন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুজন কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।বুধবার রাতে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে তাদের প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার খান
মোহাম্মদ আবু নাসের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।প্রত্যাহার হওয়ার পুলিশ সদস্যরা হলেন—এসআই পলাশ সাহা, এএসআই মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, এএসআই মো. রুহুল আমিন, কনস্টেবল মোহাম্মদ আল মামুন, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম।এ ব্যাপারে পিরোজপুর পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ আবু নাসের জানান, সোমবার বিকেলে বালিপাড়া ইউনিয়নে বিস্ফোরণ মামলার আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। তখন থানা-পুলিশ সংবাদ
পেয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল খানকে গ্রেপ্তার করে। পরে সামাজিক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা হেলাল খানের গ্রেপ্তারের সংবাদ শুনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সাথে হাতাহাতি হয়। একপর্যায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে জোর করে হেলাল খানকে ছিনিয়ে নেয়। এতে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাদেরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন জানান, আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায়
ইন্দুরকানী থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।উল্লেখ্য, বিস্ফোরক মামলার আসামি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল খান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। থানা-পুলিশ সংবাদ পেয়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল খানকে গ্রেপ্তার করে। পরে সামাজিক
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতারা হেলাল খানের গ্রেপ্তারের সংবাদ শুনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর সাথে হাতাহাতি হয়। একপর্যায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করে জোর করে হেলাল খানকে ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ তাৎক্ষণিক আবার অভিযান চালিয়ে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজকের বাড়ি থেকে ছিনতাকারী হিসেবে দুই জনকে এবং পরবর্তীতে আরও চারজনসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Post a Comment