গোসলের সময় প্রস্রাব করলে যে বিপদ হতে পারে

 গোসলের সময় প্রস্রাব করলে যে বিপদ হতে পারে



গোসলের সময় হুট করে প্রস্রাব করার বদঅভ্যাস বা সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। এ অভ্যাস কিন্তু নিছকই সামান্য ঘটনা নয়, গোসলের সময় প্রস্রাবের অভ্যাস হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। মনোবিদরা বলছেন, বাথরুমের কল থেকে পড়া পানির শব্দ এবং মূত্রত্যাগের সঙ্গে মানসিক পরিবর্তনেরও সম্পর্ক রয়েছে। যেমন প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে মূত্রত্যাগ করার পরেও পানির ‘হিসিং’ শব্দ শুনে বারংবার প্রস্রাব করার ইচ্ছা জাগতে পারে। এমনকি প্রস্রাব ধরে রাখতেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সমস্যা হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে ‘ব্লাডার স্প্যাজম’ বলা হয়।

ভারতের হরিয়ানার ক্লাউড নাইন হাসপাতালের স্ত্রীরোগ চিকিৎসক শৈলী শর্মা বলেন, ‘একইসঙ্গে গোসল এবং প্রস্রাব করার অভ্যাসের ফলে তলপেটের পেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মূত্রথলি পুরোপুরি ফাঁকা হয় না। জমে থাকা প্রস্রাব থেকে সংক্রমণ হতে পারে। পরবর্তীকালে মূত্রথলি এবং মূত্রনালিতে পাথর জমার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে এই সমস্যা মূলত নারীদের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।’


বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে গোসল করতে করতে প্রস্রাব করার অভ্যাস তলপেটের পেশির কার্যক্ষমতা দুর্বল করে দেয়। ফলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে, পুরুষদের শারীরিক গঠনই এমন, যা দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ করার পক্ষে সহায়ক। কিন্তু মহিলাদের ক্ষেত্রে সে সুবিধা না থাকায় মূত্রথলি বা মূত্রনালি সংক্রান্ত শরীরের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় ভোগার আশঙ্কা তাদের ক্ষেত্রেই বেশি।


পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে চিন্তা করলেও পুরুষ এবং নারী, উভয়ের ক্ষেত্রেই বিষয়টি এক। প্রস্রাবের মধ্যে নানা রকম ব্যাকটেরিয়া এবং অ্যামোনিয়া থাকে। অ্যামোনিয়া বাথরুমের মেঝেতে দুর্গন্ধ ছড়ায় আর ব্যাকটেরিয়াও বাসা বাঁধতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post