রাতে যে ৫ উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হোন, হতে পারে কিডনি রোগের ইঙ্গিত

 রাতে যে ৫ উপসর্গ দেখা দিলে সতর্ক হোন, হতে পারে কিডনি রোগের ইঙ্গিত



কর্মব্যস্ত জীবনে নিজেদের দিকে খেয়াল রাখার সুযোগ থাকে না সবসময়। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম আর অবহেলার প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। দেহে বাসা বাঁধে নানা রোগ। শরীরের ভেতরে কোনো অসুখ জন্ম নিলে তা বাইরে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। যখন ধরা পড়ে, তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়।


বিশেষ করে কিডনির রোগ হলে তা ধরা পড়ে অনেক দেরিতে। বেশিরভাগ সময়ই কিডনি সমস্যার উপসর্গগুলো এতটাই মৃদু হয় যে, অসুখ বাড়াবাড়ি না হলে বুঝে ওঠা যায় না।শুধু পাথর জমা নয়, কিডনিতে আরও নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিডনি বিকল হলে তার কিছু ইঙ্গিত আগে থেকেই শরীরে ফুটে ওঠে, যা সাধারণত আমরা উপেক্ষা করে যাই। বিশেষ করে রাতের বেলা কিডনি রোগের উপসর্গ সবচেয়ে বেশি ধরা পড়ে।


আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্ট বারের ভোট গণনায় হামলা, আহত কয়েকজন

এ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানিয়েছে, রাতের বেলা যে লক্ষণ দেখা দিলে কিডনি রোগ বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরি।


ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া : ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া কেবল ডায়াবেটিস নয়, কিডনি রোগের কারণেও হতে পারে। বিশেষত রাতের বেলা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশিবার মূত্রত্যাগ করতে হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। রাতে দুই বা দুইবারের বেশি প্রস্রাব হলে তা কিডনি অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে।


পা ফুলে যাওয়া :


কিডনির সমস্যায় শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর ফলে পা এবং গোড়ালি ফুলে যায়। বিশেষ করে সন্ধ্যাবেলা অথবা রাতে পা ফুলতে শুরু করলে এবং সকালে কমে গেলে তা কিডনি রোগের লক্ষণ হতে পারে। এমন সমস্যা দেখা দিলে ফেলে রাখা ঠিক নয়। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।


আরও পড়ুনঃ ডোমারে মেয়রের বিরুদ্ধে কোর্টে অপহরণ হত্যার মামলা

শ্বাসকষ্ট হওয়া :


শ্বাসকষ্ট কিডনি রোগের অন্যতম লক্ষণ। কিডনির সমস্যা হলে শরীরে তরলের পরিমাণে হেরফের হয়। আর তা থেকেই ফুসফুসের উপর চাপ পড়ে। শোয়ার সময়ে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়।


অনিদ্রার সমস্যা :


ক্রনিক বা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনিদ্রার সমস্যা খুবই সাধারণ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের ঘুম না আসার সমস্যা সুস্থ মানুষদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই হঠাৎই অনিদ্রার সমস্যা দেখা দিলে তা উপেক্ষা না করাই ভালো।

Post a Comment

Previous Post Next Post