আগরতলায় উপদূতাবাসে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বর্বর হামলা, সর্বত্র নিন্দার ঝড়এক পর্যায়ে সমিতির উগ্রপন্থী সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় উগ্র হিন্দুরা। ফেসবুকে রিপন এহসান লিখেছেন, যে দেশ অন্য দেশের দূতাবাসের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই দেশ কিভাবে অন্য দেশের দিকে আঙ্গুল উঠায়? আবার মমতা বলে শান্তি মিশনের সেনা পাঠানোর দাবি উঠায়!! আবু সাইদ লিখেছেন, আমার মনে হয় যেভাবে আফগানিস্তান ইন্ডিয়া থেকে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেছিল ঠিক এভাবেই এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত ইনডিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া, এবং ভারতের বিকল্প হিসাবে যাদের সাথে সহজে ব্যবসা করা যায় তাদের সাথে সম্পর্ক আরো ভালো করে তাদের সাথে আমদানি রপ্তানি শুরু করা। তাহল ভারতের শিক্ষা হয়ে যাবে, এবং বাংলাদেশের জন্য ভারত নির্ভরতা কমবে। আব্দুল গাফফার লিখেছেন, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভারতীয় দূতাবাসকে কত সুন্দর প্রটোকল দিয়ে রাখে…. আর ইন্ডিয়ার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতেছি তারা ইচ্ছে করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে… অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো না। হৃদয় হোসাইন রিয়াদ লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে ইন্ডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হোক। ভারত তার নিজের দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারে না সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তারা আবার আমার শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশ বিষয়ে নাক গলাতে আসে। হামিদুল ইসলাম রানা লিখেছেন, বিজেপি সরকার যে আসলে একটা উগ্রবাদী দল তা এই কালচার দেখে বোঝা যাচ্ছে। মোদি সরকার একটা দাঙ্গাবাজি সরকার। মোদী একসময় গুজরাট দাঙ্গার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন। দেলোয়ার আশরাফ লিখেছেন, এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের দেখবো এরা কি আসলে বাংলাদেশ চায় নাকি ভারতের দালালি চায়। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কে ডেকে কঠিন প্রতিবাদ করতে হবে। জাতিসংঘে ওদের বিরুদ্ধে বিচার দিতে হবে। এদিকে, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করবে তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে এ কর্মসূচির কথা জানান। বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সোমবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগরতলায়

 আগরতলায় উপদূতাবাসে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বর্বর হামলা, সর্বত্র নিন্দার ঝড়



ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে অবস্থিত বাংলাদেশের উপদূতাবাসে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকটা নিরব ভূমিকায় চরমপন্থী হিন্দুদের হামলা ও ভাঙচুরের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। দেশ-বিদেশে সর্বত্র চলছে ভারতবিরোধী নিন্দার ঝড়।


নেটিজেনরা বলছেন, একটি দেশের দূতাবাসে কেবল অসভ্য, বর্বর, হিংস্র ও উগ্রপন্থীরাই নেক্কারজনকভাবে হামলা করতে পারে। এই হামলার মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দেশের প্রতি চরম অসম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। সেইসাথে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা সম্প্রীতির বিশ্বের জন্য কতটা বিপজ্জনক তা ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশি দেশপ্রেমিক হিন্দুদের কাছ থেকে এই ঘটনায় প্রতিবাদ আশা করেছেন তারা।জানা যায়, ‘বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর কথিত নির্যাতন ও উগ্রবাদী ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার (০২ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই হামলা চালায় উগ্রবাদী একটি হিন্দু সমিতির সদস্যরা।


আগরতলার সার্কিট হাউস অবস্থিত গান্ধী মূর্তির সামনে চরমপন্থী হিন্দুরা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপিও দেয়।এক পর্যায়ে সমিতির উগ্রপন্থী সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে পড়ে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয় উগ্র হিন্দুরা।


ফেসবুকে রিপন এহসান লিখেছেন, যে দেশ অন্য দেশের দূতাবাসের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই দেশ কিভাবে অন্য দেশের দিকে আঙ্গুল উঠায়? আবার মমতা বলে শান্তি মিশনের সেনা পাঠানোর দাবি উঠায়!!


আবু সাইদ লিখেছেন, আমার মনে হয় যেভাবে আফগানিস্তান ইন্ডিয়া থেকে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেছিল ঠিক এভাবেই এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত ইনডিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া, এবং ভারতের বিকল্প হিসাবে যাদের সাথে সহজে ব্যবসা করা যায় তাদের সাথে সম্পর্ক আরো ভালো করে তাদের সাথে আমদানি রপ্তানি শুরু করা। তাহল ভারতের শিক্ষা হয়ে যাবে, এবং বাংলাদেশের জন্য ভারত নির্ভরতা কমবে।


আব্দুল গাফফার লিখেছেন, বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভারতীয় দূতাবাসকে কত সুন্দর প্রটোকল দিয়ে রাখে…. আর ইন্ডিয়ার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতেছি তারা ইচ্ছে করে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছে… অতিরিক্ত কোন কিছু ভালো না।


হৃদয় হোসাইন রিয়াদ লিখেছেন, বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি যে ইন্ডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হোক। ভারত তার নিজের দেশের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারে না সংখ্যালঘু মুসলমানদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তারা আবার আমার শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশ বিষয়ে নাক গলাতে আসে।


হামিদুল ইসলাম রানা লিখেছেন, বিজেপি সরকার যে আসলে একটা উগ্রবাদী দল তা এই কালচার দেখে বোঝা যাচ্ছে। মোদি সরকার একটা দাঙ্গাবাজি সরকার। মোদী একসময় গুজরাট দাঙ্গার মূল মাস্টারমাইন্ড ছিলেন।


দেলোয়ার আশরাফ লিখেছেন, এখন বাংলাদেশের হিন্দুদের দেখবো এরা কি আসলে বাংলাদেশ চায় নাকি ভারতের দালালি চায়। ভারতীয় রাষ্ট্রদূত কে ডেকে কঠিন প্রতিবাদ করতে হবে। জাতিসংঘে ওদের বিরুদ্ধে বিচার দিতে হবে।


এদিকে, ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করবে তারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে এ কর্মসূচির কথা জানান।


বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।সোমবার এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগরতলায়

Post a Comment

Previous Post Next Post