বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা :
মির্জা ফকরুলজুমবাংলা ডেস্ক : অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সহ-অধিনায়ক মেজর জিয়ার সহধর্মিনী আজকের বিএনপি’র চেয়ারপার্সন ও তৎকালীন গৃহবধূ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াই বাংলাদেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরও অনেকেই।
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ-পরবর্তী তৎকালীন পূর্বপকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সার্বিক পরিস্থিতি অনুধাবনে ব্যর্থতা এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের মসনদ অটুট রাখার কৌশলগত কারণে সামরিক বাহিনীর পাকিস্তানি অফিসারদের কার্যকলাপে, বিশেষ করে ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এক ধরনের অস্থির পরিবেশ বিরাজ করছিল। তবে, পরের দিন ২৪ মার্চ ইয়াহিয়া খান সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বৈঠক না করে পুর্বপাকিস্তান ছাড়লেও চট্টগ্রামের ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে একই দিনে ঘটেছিল অনন্য এক ঘটনা।
ঘটনার মূলে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ওইদিন সহ-অধিনায়ক মেজর জিয়ার অনুপস্থিতিতে তিনি (বেগম জিয়া) তাৎকক্ষণিকভাবে চট্টগ্রাম সেনানিবাসের সেন্ট্রাল অর্ডিনেন্স ডিপো (কোড) বা ‘কেন্দ্রীয় অস্ত্রাগার’ থেকে ১৭ বেলুচ সৈন্যদের অস্ত্র না দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান করে পক্ষান্তরে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টকে অস্ত্রহীন হওয়া থেকে রক্ষা করেছিলেন। সেদিনের ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় অবশ্যই প্রমাণিত হয় তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা। তবে মুক্তিযুদ্ধে শুরুতে খালেদার জিয়ার সেদিনের ওই অনন্য অবদানের যথাযথ মূল্যায়ন হয়নি আজও।বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্ন তুলে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা হবেন না, তো কে মুক্তিযোদ্ধা হবেন? যারা পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল, আর ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল তারা মুক্তিযোদ্ধা হবে? বেগম জিয়া অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা, তিনি উড়ে এসে জুড়ে বসেননি। তাঁর যোগ্যতায় তিনি সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে (লেভেল-১২) জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিনিধির সাথে একান্ত আলাপকালে বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলার কারণে আওয়ামী লীগের অনেকে হাসাহাসি করেছেন। বাস্তবে, যেদিন শহীদ জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন, সেদিন বেগম জিয়া সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে তারেক জিয়া ও কোকোকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন। পাক বাহিনী ভেতরে ঢুকে পড়ায় সেনাবাহিনীর বাঙালি সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার কাছে অনুমতি নিতে গিয়েছিল কী করবে- সেটি জানার জন্য। সেদিন তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) সেনাবাহিনীর উদ্দেশে বলেছিলেন, তোমরা অধিনায়কের অনুমতি ছাড়া কেউ আত্মসমর্পণ করবে না।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তিনি সেদিন সেনাবাহিনীকে না বলার মধ্য দিয়ে শিশু সন্তানদের নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে পাকবাহিনীর কাছে ধরা পড়েন। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বন্দী ছিলেন বেগম জিয়া। বন্দিদশায় তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) মক্তিযুদ্ধকালীন পুরোটা সময় মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেছেন।’
Post a Comment